বিশ্ব বরেণ্য চিত্র শিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নড়াইলের চিত্রা নদীতে অনুষ্ঠিত হলো এস এম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
নড়াইল ফেরিঘাটের শেখ রাসেল সেতু হতে শুরু হয়ে এস এম সুলতান সেতু পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার বাইচে অংশ নেয় নারীদের ৩ নৌকাসহ মোট ১৯টি। নৌকাবাইচে যশোর, খুলনা, মাগুরা, পাবনা ও নড়াইলের বাইচের ন্যেকা অংশ নেয়। এর মধ্যে কালাই নৌকা ৯টি, টালাই ৫টি আর নারীদের ৩টি।
বৈঠার তালে তালে এগিয়ে চলছে নৌকা, ৬০ জন বাইছালারে বৈঠা একতালে পড়ছে। সামনের তিনজন চড়েন্ডার মাঝে একজন ঢং ঢং শব্দে কাসা পিটাচ্ছেন। নৌকার বৈঠার পানি উপচে পড়ছে দুই পাশে। অন্যরকম এক শব্দ আর পরিবেশ। এইভাবে এগিয়ে চলছে নৌকা।
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই বাইচ দেখতে আশ-পাশের জেলাসহ স্থানীয়দের পদভারে মুখরিত হয় চিত্রা নদীর দুইপাড়।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে নড়াইলের পুরাতন ফেরিঘাট থেকে নৌকাবাইচের উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমানারা বেগম, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু প্রমুখ।
এদিকে নৌকাবাইচকে ঘিরে জমিদারবাড়ির বাধাঘাট, চরের ঘাট,পঙ্কবিলা ঘাট সহ দুপাড়ের কয়েকস্থানে মেলা বসে।
শনিবার সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ বাাধাঘাটে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কালাই নৌকায় প্রথম স্থান অধিকার করে গোপালগঞ্জের মা শীতলা নামের নৌকা। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান লাভ করে যথাক্রমে মাগুরার মায়ের দোয়া ও গোপালগঞ্জের সোনার তরী।
ছোট টালাই নৌকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পায় খুলনার সোনার বাংলা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে মুকসুদপুরের জয় মা দূর্গা ও টুঙ্গিপাড়ার জয় মা কালী।
নারীদের নৌকাবাইচে চিত্রকলী প্রথম, কুসুমকলি দ্বিতীয় এবং গানের পাথি তৃতীয় স্থান লাভ করে।