অবশেষে তিস্তা নদীতে ভেসে আসা মেহেদী রাঙা দুই হাত বাঁধা সেই তরুণীর পরিচয় মিলেছে। ওই তরুণীর নাম জোসনা। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর মেয়ে। ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল জোসনা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী মরদেহের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় ওড়না দিয়ে জোসনার মেহেদি রাঙা দুই হাত পেছন দিকে বাঁধা এবং মুখ এসিডে ঝলসানো অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ দিন আগে একই জেলার চাপানী এলাকার জহিদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জোসনার। বিয়ের পরে চাচাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে নিজ বাড়িতে এসেছিলো জোসনা। শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হয় জোসনা।
এদিকে, নিখোঁজের ৪ দিন পর তিস্তা নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে এসে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা মাঝের চরে জোসনার মরদেহ আটকে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।