• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৩ সন্তানের জননীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:৩২ এএম
৩ সন্তানের জননীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
নোয়াখালীর মানচিত্র। ছবি : সংবাদ প্রকাশ গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ৩ সন্তানের জননী শারমিন আক্তারকে (৩০) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চরজব্বর থানার পুলিশ।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট রাতে উপজেলার পূর্ব চরবটা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরমজিদ গ্রামের আব্দুল হাদিগো বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।  

নির্যাতিতা শারমিন আক্তার অভিযোগ করে জানান, ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে একই ওয়ার্ডের নুরনবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি ভিক্ষা করে সংসার চালান। তার এক মেয়ের হার্টের সমস্যা থাকায় ৫০ হাজার টাকা দরকার ছিল। এজন্য স্থানীয় কয়েকটি বাজারে ভিক্ষা করে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করেন। ভিক্ষা করে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে স্বামী পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রায় গালমন্দ করত। এভাবে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে কিছুদিন আগে কাজের সন্ধ্যানে তিনি ঢাকা চলে যান। পরে স্বামীর পরিবারের লোকজনের কথায় পুনরায় ফিরে আসেন।

অভিযোগ শারমিন আক্তার বলেন, “গত ১৩ আগস্ট রাতে শ্বশুরবাড়ির পাশের বেলাল সওদাগর নামে এক ব্যক্তি ভরসা দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে প্রথমে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। এরপর ওইদিন রাত ১২টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্বশুর আব্দুল হাদি, জা কুলসুমা, নার্গিস, ভাসুরের ছেলে শেখ ফরিদ, হাসান, ভাগনে রাসেল, স্বামী নুরনবীও তার বোন ছাহেরা খাতুন আমার হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। আমি এতিম, আমার মা-বাবা কেউ নেই। আমার খালাতো ভাইয়েরা আমাকে লালন পালন করে বিয়ে দেয়। খবর পেয়ে তারাই আমাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।”  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরনবীর ফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, “গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা একটি ভিডিও এক গণমাধ্যম কর্মী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। ভিডিওটি দেখে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!