অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে সীমান্তবর্তী বিজিবি ক্যাম্পে রাখা হয়। এরপর তাকে সিলেটের আদালতে তোলা হয়।
তারপর ছোটখাটো একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “তার (শামসুদ্দিন চৌধুরী) স্কোটাল ইনজুরি (অণ্ডকোষে আঘাত) ছিল। রাতে অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি ভালো আছেন এবং হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
সিলেট সীমান্তে আটক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (৭৪) এখনো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি (শামসুদ্দিন) সকালে হালকা তরল খাবার খেয়েছেন। এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, হয়তো দুই-চার দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া যাবে।
আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা দলবদ্ধ কিছু ব্যক্তি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জখম করেন। এসব দলবদ্ধ ব্যক্তির আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনোরকমে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালত ভবনে ঢোকান।
মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শামসুদ্দিন চৌধুরী হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সার্জারি ওয়ার্ড ৪-এর অধীনে আইসিইউ-২-এ ভর্তি আছেন। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তার স্ক্রোটাল ইনজুরির (অণ্ডকোষে আঘাত) অস্ত্রোপচার হয়।
মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, শামসুদ্দিন চৌধুরীর যে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই আঘাতটি নতুন। এর বাইরে বড় ধরনের জখম তার শরীরে ছিল না।