যুবককে গুলি করে হত্যা, ৩ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলেন প্রতিবেশীরা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ইয়াছিন আরাফাত ওরফে শাকিল (২৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং আরেক জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক রা হলেন- উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের খোকনের ছেলে মোরশেদ আলম (২৫), একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. জীবন (২৪) ও মো. মনির (২২)।  

এর আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটর সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  

নিহত শাকিল ধীতপুর গ্রামের মো. সোলাইমান খোকনের ছেলে এবং পেশায় একজন থাই অ্যালুমিনিয়াম মিস্ত্রি ছিলেন, পাশাপাশি তিনি একটি চায়ের দোকান করতেন।  

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে শাকিলসহ কয়েকজন ছয়ানীর গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পাঁচজন অস্ত্রধারী এসে লাবিব নামে এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। তখন শাকিলসহ আরও কয়েকজন তাদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে। এ সময় তার ছোট ভাই শুভকে (২৫) কুপিয়ে জখম করে। তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন দুই ভাইকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করে। পরে স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।  

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে আগামী ২ মে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল শাকিলের। তার ৭ মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।    

বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে ঘটনাস্থলের পাশেই থাকা ডোবাতে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি শুকিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার আসামিরা গণপিটুনির শিকার হওয়ায় পুলিশ পাহারায় তাদের চিকৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।