সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইসমাইল হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরকে হত্যার পর তার অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মো. আব্দুল্লাহ (২২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে উপজেলার তাড়াশ-কুন্দইল আঞ্চলিক সড়কের পাশের ধানক্ষেত থেকে ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইসমাইল নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে আব্দুল্লাহ নামের ওই যুবক ইসমাইলের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে তাড়াশের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুরে তাড়াশ-কুন্দইল আঞ্চলিক সড়কের বিস্তীর্ণ চলনবিল অধ্যুষিত দিঘি এলাকায় পৌঁছানোর পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে চালক ইসমাইলকে হত্যা করেন আব্দুল্লাহ। পরে সড়কের পাশে ধান ক্ষেতে মরদেহ ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এরপর অটোরিকশাটি তাড়াশের কাস্তা এলাকায় বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় স্থানীয়রা চোর সন্দেহে আব্দুল্লাহকে গণপিটুনি দিয়ে মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবিবের কাছে নিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল্লাহ ইসমাইলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে রাত ১টার দিকে ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হবে।