লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ শাহনাজ বেগমকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার সুজনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিহাব উদ্দিনের বাড়ি রামগতি উপজেলার শ্যামলগ্রামে। তিনি অনেক দিন ধরে পার্শ্ববর্তী সুজনগ্রামের একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে নিয়ে সুজনগ্রামে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তাদের ঘরে কোনো সন্তান নেই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে বাসায় ছাগলের মাংস কাটছিলেন শিহাব। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে শিহাবের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রী শাহনাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘরে শাহনাজের লাশ ফেলে পালিয়ে যান তিনি। পরে ঘর থেকে রক্ত বের হতে দেখে পুলিশকে খবর দিয়েছে স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে জেলার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জেলা পরিষদের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ভিপি হেলাল বলেন, “অনেক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ ছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে শিহাব উদ্দিন স্ত্রী শাহনাজকে কুপিয়ে হত্যা করেন।”
শিহাবকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, “স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। নিহতের স্বামী শিহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।”