প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এক যুবককে বিয়ে করেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী সুয়াইলা।
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সুয়াইলা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। রাতে ঢাকার একটি হোটেলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় শামীমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতেই নতুন বউকে নিয়ে নিজের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন শামীম।
এদিকে গ্রামে ‘বিদেশি বউ এসেছে’ এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা শামীমের বাড়িতে ভিড় করেন।
শামীমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শামীম হোসেন গত ৫ বছর আগে নির্মাণশ্রমিকের ভিসায় (কনস্ট্রাকশন) মালয়েশিয়া যান। সুয়াইলা বর্তমানে মালয়েশিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। সেখানে যে এলাকায় শামীম বসবাস করতেন ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন সুয়াইলা। অনলাইনে সুয়াইলা একটি ওয়েব পেজের মাধ্যমে ফুল বিক্রি করতেন। ওই ওয়েবপেজের মাধ্যমেই শামীমের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা।
এর মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শামীমের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন। এরপর অনলাইনে তাদের যোগাযোগ ও প্রেম চলছিল। সেই প্রেমকে বিয়েতে রূপ দিতেই বাংলাদেশে আসেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণী।
শামীম হোসেন বলেন, “মালয়েশিয়া থাকাকালীন আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। তবে গত ৪ মাস আগে দেশে ফিরে আসায় একটু চিন্তিত ছিলাম সুয়াইলাকে বিয়ে করতে পারব কি না, ও আমাদের দেশে আসবে কি না। তবে সুয়াইলা কথা রেখেছে। আমাকে, আমার পরিবার ও দেশকে ভালোবেসে সে আমার কাছে এসেছে এতেই আমি খুশি।”
সুয়াইলার অনুভূতি জানিয়ে শামীম বলেন, “সুয়াইলা বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় খুব খুশি। মাত্র এক মাসের ছুটিতে বেরিয়ে তার মন ভরবে না। সে আগামীতে অবশ্যই বেশি ছুটি নিয়ে এদেশে বারবার আসতে চায়।”
ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাউসার খন্দকার বলেন, “আমাদের গ্রামের শামীম বিদেশি এক নারীকে বিয়ে করে এনেছেন। ভিনদেশি নারী আমাদের এলাকায় এসেছেন শুনে অনেকে ওই বাড়িতে তাকে দেখতে যাচ্ছেন।”