লালমনিরহাটের পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে পাটগ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ নিউপূর্ব পাড়ার আব্দুস সামাদ প্রধানের ছেলে।
এর আগে ২০ জানুয়ারি রাতে পাটগ্রাম পৌরসভার নিউ পূর্বপাড়া নিজ বাসার গেটের সামনে অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবেদ আলীর ছোট ভাই। তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপকমান্ডার ছিলেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠা অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণের পর এলাকায় একটি কিন্ডার গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেন এম ওয়াজেদ আলী। এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও পরিচালক পদে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে গুরুতর অপরাধে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে চাকরিচ্যুত করেন অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী। এতে এম ওয়াজেদ আলীর ওপর ক্ষুব্ধ হন নাহিদুজ্জামান। এরই জেরে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যা করেন নাহিদুজ্জাান।
ঘটনার পরদিন রাতে নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে রিফাত হাসান।
আলোচিত এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহকে এ মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার মধ্যরাতে পাটগ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নাহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, প্রধান অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলার ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।