রাজশাহীতে মহা অষ্টমী ও কুমারী পূজা উদ্যাপিত হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে নগরীর সাগরপাড়া ত্রিনয়োনী মণ্ডপে কুমারী পূজা শুরু হয়।
দেবীর আসনে অন্নপূর্ণা নামের ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে বসিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। তার এই দেবী রূপের নাম দেওয়া হয় ‘উমা’। ১৬টি উপকরণ দিয়ে মহাষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণ দেওয়া হয় আসনে বসা ‘কুমারী পূজায়’। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেন দেবীর চরণে।
মণ্ডপের পুরোহিত শ্রী কুমার বর্মন জানান, কুমারী কন্যার পূজা একাধারে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা, মানবের বন্দনা আর পৃথিবীতে নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর সৃষ্টিকর্তার আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। তাই তারা প্রতি বছর বিশেষ মর্যাদায় এই পূজা পালন করে থাকেন।
শ্রী কুমার বর্মন বলেন, “সনাতন শাস্ত্রমতে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগৎমাতার উদ্দেশে শ্রদ্ধা করা হয়। মনে করা হয় এই পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠবে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। কুমারী দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।”
এদিন মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের অধিকাংশই ছিলেন নারী। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বছর ঘুরে তাদের মাঝে আবারও শারদ উৎসব এসেছে। আর আজ পালন করা হচ্ছে মহা অষ্টমী ও কুমারী পূজা। তাই তারা প্রতিটি মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং দেবীর কাছে নিজেদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন।
এ ছাড়া মণ্ডপগুলোতে পূজা দিতে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মণ্ডপে মণ্ডপে বেজেছে ঢাক, ছিল উলু ধ্বনি। দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় প্রার্থনায় নিমগ্ন ছিলেন দেবী দুর্গার ভক্তরা।