• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড কক্সবাজার


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ো বাতাসে গাছপালাসহ ৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে যাওয়ায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকায়। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

নিহতরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) এবং চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭)।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ অতীশ চাকমা বলেন, “ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে হাজার হাজার গাছ ভেঙে পড়েছে। যার কারণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করে মহাসড়ক ও সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এখনো শহরের সড়কগুলো থেকে উপড়ে পড়া গাছ কেটে, তা সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে। চেষ্টা করছি দ্রুত গাছ সরিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার।”

কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।”

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানতে কাজ চলছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তা জানতে বিলম্ব হচ্ছে। অপারেটরদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করতে বলা হয়েছে। এটা হলে ক্ষয়ক্ষতির খবর দ্রুত পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে তিনজনের মৃত্যু, পাঁচ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি৷

Link copied!