বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে বরগুনায় নদ-নদী ও খাল বিলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পরিমাপক মাহাতাব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার, বরগুনা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গোলবুনিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশকিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিতে আছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে মানুষ আতংকে রয়েছে।
মাঝের চর এলাকার আলি আকবরসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের জমিজমা নেই। নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না, কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।”
১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান রাজা বলেন, মাঝের চরের কিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। খুব শিগগিরই এডিপির অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহাতাব হোসেন বলেন, “খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকালের (শুক্রবার) তুলনায় ৭ সেন্টিমিটার বেশি।”
ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, “বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করা হয়েছে। এছাড়া, নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। সকল মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”