রমজানে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
এতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ও প্রতি ডজন ডিম ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রয় ও বিপণনের কাজ করছে ‘বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্বল্পআয়ের মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস ও ডিম কিনছেন। একজন এক কেজি মাংস ও এক ডজন ডিম কিনতে পারবেন বলা হলে প্রথম দিকে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় অনেকে কয়েক কেজি মাংস ও কয়েক ডজন ডিম কিনতে পেরেছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
জাহিদ হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, “বাজারে এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা। প্রতি ডজন ডিম খুচরা বাজারে ১৩৫ টাকা। দামে কম পাওয়ায় এখানে কিনতে এসেছি।”
হনুফা খাতুন নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, “বাজারের চাইতে এহেনো (এখানে) দাম কম। আরেকটু দাম কমাইলে আমগর মতো গরিব মানুষের সুবিধা অইতো। খুশি মনে আয়্যা মাংস কিনবার পারতাম।”
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে বাজার থেকে কিছুটা কম মূল্যে গরুর মাংস ও ডিম দেওয়া। এখানে সরকারি কোনো ভর্তুকির ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে উৎপাদন মূল্যে ডিম ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, “রমজান উপলক্ষে সাধারণ মানুষের খাদ্যতালিকায় যে সব পণ্য থাকে, সেগুলো যেন কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে, তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে মঙ্গলবার ও বুধবার প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে ১ কেজি করে গরুর মাংস ও ১০ হাজার পিস ডিম বিক্রি করা হবে। একেকজন ১ ডজন করে ডিম কিনতে পারবেন। পাশাপাশি দুধ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হবে। পুরো রমজান মাস ধরে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
গত রমজানে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা এবং প্রতি ডজন ডিম ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।