পাবনা শহরে প্রকাশ্যে সাথী খাতুন (১৭) নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাওন ইসলামের (১৯) বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পাবনার পৌর সদরের দিলালপুর টেকনিক্যাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা শাওনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নিহত সাথী খাতুন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাছিমপুর গ্রামের নবিরুল ইসলামের মেয়ে। আর আটক শাওন ইসলাম পাবনা পৌরসভার দিলালপুর পুরাতন টেকনিক্যাল এলাকার শরিফ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাায় দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিকভাবে সাথী ও শাওনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসার জীবনে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। মাঝেমধ্যেই সাথীকে মারধর করতেন শাওন। তারই জেরে সোমবার সকালে সাথী তার বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলেন। পরে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে শাওন পেছন থেকে সাথীকে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে শাওনকে আটক করেন এবং সাথীকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত স্বামী শাওনকে আটক করা হয়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।”