দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন অনেকে। অন্যান্য মহসড়কের মতো দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ রাজধানী থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। বিশেষ করে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে।
সরেজমিন দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। মাওয়া টোলপ্লাজা অভিমুখে মোটরসাইকেলের সারি। পদ্মা সেতুতে এ মুহূর্তে চালু রয়েছে সাতটি বুথ। বাড়তি চাপে সকালে দুটি বুথে মোটরসাইকেলের টোল আদায় করা হয়। তবে ১০টার দিকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে একটি বুথে পারি দিচ্ছে মোটরসাইকেল। শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
বরিশালগামী যাত্রী ইয়াসির হোসেন বলেন, “আজ চাঁদ উঠলে আগামীকাল ঈদ হতো। তাই আজ বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। সকাল সকাল রওনা হয়েছি। অন্য গাড়ির চেয়ে মোটরসাইকেলে অনেকটাই স্বস্তিতে যাওয়া যায়। তাই মোটরসাইকেলে যাচ্ছি। ঈদে বাড়িতে যাচ্ছি এটাই বড় আনন্দের।”
ফাইজুল হক নামের আরেক যাত্রী বলেন, “নিজের বাইক আছে তাই বাইকে করে ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছি। তবে টোলপ্লাজায় কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া পথে কোনো সমস্যা হয়নি।”
বাসে করে বাড়ি যাচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবী রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, “আজ চাঁদ উঠলে আগামীকাল ঈদ। এ জন্য রিস্ক নিতে চাই না। পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কিনেছি। সেগুলো নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আগের মতো আর ভোগান্তি নেই।”
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জিয়াউল হায়দার বলেন, “শেষ সময়ে গাড়ির চাপ পড়েছে অনেক। শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নেই। শান্তিপূর্ণ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।”