দুর্নীতির অভিযোগে লোকমান ফকির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বহিষ্কার


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
দুর্নীতির অভিযোগে লোকমান ফকির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বহিষ্কার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাছান আলীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার নেওয়া করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে গভর্নিং বডি।

এছাড়া অর্থ ছাড়া পদোন্নতি না দেওয়ার অভিযোগে ওই কলেজের ১৩ জন শিক্ষক অধ্যক্ষ হাছান আলীর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে ফৌজদারি মামলা করেন। এর আগে অধ্যক্ষ হাছান আলীকে ২টি কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) এবং একইসঙ্গে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছিল কলেজ গর্ভনিং বডি।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৩১ ডিসেম্বর কলেজের সাবেক সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যক্ষ হাছান আলীকে এ ২টি কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ৬ মাসের ছুটির আদেশ প্রদান করা হয়। নোটিশ প্রাপ্তির আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কলেজের সভাপতি বরাবর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

ওই নোটিশে বলা হয়, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর কলেজের গভর্নিং বডির সভার ২নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষ হাছান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে।

বহিষ্কারপত্র সূত্রে জানা যায়, গভর্নিং বডি চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি একটি মিটিংয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে তদন্ত কমিটি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২২ লাখ ৯০ হাজার ৫০১ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ ডিসেম্বর কলেজ গভর্নিং বডির সভায় তাকে সাময়িক বাহিষ্কার করা হয়।

এসব বিষয়ে কলেজের সদ্য বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ হাছান আলী বলেন, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। গভর্নিং বডি আমাকে বহিষ্কার করতে পারে না। কমিটির বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

এ ব্যাপারে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. রেশমা আখতার জানান, অধ্যক্ষ হাছান আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেই তাকে বিধি মোতাবেক সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

Link copied!