জামালপুরের মেলান্দহে ছেলের বউকে নিয়ে চলে গেছেন শ্বশুর জুলহাস মিয়া (৫০)। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ঝাউগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মানুষের মুখে মুখে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, প্রায় ত্রিশ বছর আগে ঝাউগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার আবুল কাশেমের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে কাজলী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে কাজলী আক্তার বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় সময় বাদশা মিয়ার সঙ্গে কলহ লেগেই থাকত। তাদের সংসারে তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জুলহাস মিয়া ঘর জামাই হিসেবে কাজলীদের বাড়িতেই থাকতেন।
জুলহাস মিয়ার শাশুড়ি ময়না বেগম জানান, প্রায় তিন বছর আগে ঝাউগড়া এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে কাজলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষবাথান এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে বিথি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর বিথি ও তার শ্বশুরের আচরণ সন্দেহজনক মনে করে তার পরিবার। এ নিয়ে কয়েক দফা দরবারও হয়।
ময়না বেগম আরও জানান, সম্প্রতি কাজলের স্ত্রী বিথি আক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে মেয়েকে নিজ বাড়ি মহিষবাথানে না পেয়ে ঝাউগড়া তার শ্বশুরবাড়ি লোক পাঠায় তার পরিবার। সেখানে যাওয়ার পর তারা জানিতে পারে বিথি আক্তারের শ্বশুর বাদশা মিয়ারও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিথি আক্তার তার শ্বশুরের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছে।
এ বিষয়ে ঝাউগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোহেল মিয়া জানান, ঘটনা সত্য, মেয়েদের বাড়ি থেকে লোকজন এসেছিল। আগে কেউ না জানলেও এখন বিষয়টি সবারই জানা।
বিথি আক্তারের বাবার বাড়ি মহিষবাথান গিয়ে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিথি আক্তারের ছোট বোন ইতি আক্তার জানায়, তার বোন নাকি শ্বশুরের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছে। বিষয়টি পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।