• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হামুনের কারণে বরগুনা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০৫:০০ পিএম
হামুনের কারণে বরগুনা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে বরগুনা-ঢাকা রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া হামুন মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন করেছেন জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, বরগুনায় ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪৩০ মেট্রিকটন চাল, ৯৬ বান্ডিল ঢেউ টিন, ২ হাজার পিস কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় হামুন প্রভাবে এই জেলার উপকূলে সাড়ে ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, জেলার ৬ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২টি ফোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্বল বা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৩০০ মিটার।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের বিষয় জানেন না উপকূলের নদীর তীরবর্তী মানুষজন। নদীর তীরবর্তী এলাকায় মানুষদের জন্য নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবস্থা। দুর্যোগপ্রবণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও উপকূলীয় জেলা বরগুনায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক সময়ে সঠিক সংকেতের অভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় জেলার বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।

এ বিষয়ে এমকে শিপিং লাইন্সের বরগুনা বন্দরের ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ বরগুনা থেকে কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে না। আবহাওয়া ভালো হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আবার লঞ্চ চলাচল করবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। তবে মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভায় বরগুনায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ৩ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে বরগুনার নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হবে।

 

Link copied!