টানা ছয় দিন পর সচল হলো বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুট। ‘কারফিউ’ শিথিল থাকায় শুক্রবার (২৬ জুলাই) বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে লঞ্চ। তবে যাত্রীদের চাপ না থাকায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি মাত্র লঞ্চ ছেড়ে যায়।
এর আগে ‘কারফিউ’ ঘোষণার পর গত ২০ জুলাই থেকে বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশাল নদী বন্দর সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারা দেশে সহিংসতা হয়। সহিংসতা থেকে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় গত ১৯ জুলাই রাত থেকে সারা দেশে কারফিউ ঘোষণা করে সরকার। এরপর ২০ জুলাই থেকে বরিশাল-ঢাকা এবং অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল।
এদিকে কারফিউর কারণে নৌ-যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় শ্রমিকদের। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক এবং কলম্যানদের।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ জুলাই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। ফলে ওইদিন থেকেই বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল শুরু হয়। তবে ৬টার পর থেকে কারফিউ থাকায় দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে।
বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, “শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এ কারণে শুক্রবার রাতে বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার জন্য ঘাটে বার্দিং করা ছিল। তবে যাত্রীসল্পতার কারণে শুধুমাত্র এমভি সুন্দরবন-১২ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। রাত ৯টায় কারফিউ শুরু হওয়ায় তার আগেই রাত পৌনে ৯টার দিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চটি ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় নদী বন্দর এলাকায় নৌ-পুলিশ এবং নদীতে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শনিবারও (২৭ জুলাই) বরিশাল থেকে ঢাকায় লঞ্চ ছেড়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।