• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সমর্থকদের গ্রেপ্তার করায় থানা ঘেরাও করলেন লতিফ সিদ্দিকী


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
সমর্থকদের গ্রেপ্তার করায় থানা ঘেরাও করলেন লতিফ সিদ্দিকী
সমর্থকদের গ্রেপ্তার করায় থানা ঘেরাও করলেন লতিফ সিদ্দিকী। ছবি : প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় সমর্থকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নেতাকর্মীদের নিয়ে থানা ঘেরাও করেছেন লতিফ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে সমর্থকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে সদ্য জয়ী এই প্রবীণ রাজনীতিক।

এ সময় মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা অবরোধের পর প্রশাসনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সড়ক থেকে সড়ে যান লতিফ সিদ্দিকী।

পুলিশ জানায়, রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের দিন কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জানুয়ারি) থানায় মামলা হয়। ওইদিন রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী ও সমর্থক। পরে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে থানায় এসে গ্রেপ্তারদের ছেড়ে দিতে বলেন লতিফ সিদ্দিকী।

পুলিশ তাদের ছেড়ে না দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের নিয়ে থানার সামনে মহাসড়কে বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তার কর্মী ও সমর্থকরা এসে তার সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় তারা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ সময় টাঙ্গাইল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দিনসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা লতিফ সিদ্দিকীকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের না ছাড়লে তিনি সড়ক অবরোধ থেকে সড়বেন না বলে জানান।

এদিকে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর কালিহাতী থানা ঘেরাও ও মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। পরে তিনি ঘটনার বিস্তারিত শুনে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

আলোচনা শেষে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “পুলিশ জানিয়েছে মামলার এজাহারে নাম না থাকা চারজনকে তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং নাম থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।”  

পরে কাদের সিদ্দিকীর অনুরোধে লতিফ সিদ্দিকী তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কালিহাতী থানা ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, নির্বাচনের দিন কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা হাসমত আলী একজন এজাহারভুক্ত আসামি। অপরাধ ছাড়া কাউকে আটক করা হয়নি।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দিন বলেন, “বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন বাংড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাসরত আলী, ঘুনী গ্রামের মোহাম্মদ পিন্টু, কোস্তরীপাড়ার মোহাম্মদ খোকা, সাতুটিয়া গ্রামের হৃদয়, রতনগঞ্জ গ্রামের লাট মিয়া ও মনির সওদাগর। এদের মধ্যে ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এজাহারভূক্ত বাকি দুইজন রতনগঞ্জ গ্রামের লাট মিয়া ও মনির সওদাগরকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবার তিনি ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট।

Link copied!