ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়কে পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া লুট হওয়া চারটি পিকআপ ভ্যান ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একটি ডাকাতির ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা মুখডোবা গ্রামের পারভেজ মুন্সি (২৭) ও শরিয়তপুরের গোসাইহাট থানার ঢালীরহাট গ্রামের আরাফাত হোসেনকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ড হতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার শিবগাতি জুনাশুর গ্রামের সোহেল কাজী (২৩) ও জুয়েল কাজী (২২), কোটালীপাড়া থানার কান্দি গ্রামের মিন্টু শেখ (৫৫) ও ধোরার গ্রামের সাগর (২৫) নামে চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি ইউনিয়নের ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়ক থেকে নজরুল ইসলাম (৪৪) নামে গরু ব্যবসায়ীকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ থেকে ১৪ জন ডাকাত। তারা একটি সাদা মাহিন্দ্র পিকআপে করে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত পিকআপ ওভারটেক করে গতিরোধ করে। এরপর ওই ব্যবসায়ী ও পিকআপ চালককে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের হাত-পা, চোখ ও মুখ বেঁধে কুঁপিয়ে জখম করে। পরে তাদের জিম্মি করে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন গনির মোড় নামক একটি জায়গায় নিয়ে ফেলে রেখে যায় এবং তাদের ৯ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি গরু, পিকআপ ভ্যান ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর গত ৫ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন গরু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। সে উপজেলার নুরুল্ল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মদি গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া গত ৪ নভেম্বর রাত ৪টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলাধীন চুমুরদি এলাকা থেকে ১০ মণ পাঙ্গাস মাছভর্তি একটি পিকআপের গতিরোধ করে এক দল ডাকাত। তারা পিকআপচালককে অপর একটি পিকআপের মাধ্যমে চাপ দিয়ে গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাত দল চালক ও মাছের মালিকের হাত-পা, চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে। সেসময় তাদের গাড়ির ভেতর ত্রিপল জাতীয় কিছু দিয়ে ঢেকে মারধর করা হয়। পরে তাদের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানাধীন গাড়াখোলা মাদ্রাসার পাশে ফেলে রেখে মাছ ও পিকআপ ভ্যানসহ নগদ টাকা নিয়ে চলে যায় ডাকাতরা।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাছ ব্যবসায়ী হৃদয় শীল (২৫)। এ ঘটনায় রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কেরাণীগঞ্জের নজরগঞ্জ জিনজিরা এলাকার থেকে জড়িত মেহেদী হাসান মৃধা (২৮) নামে ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। মেহেদী মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার শংকরদী গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধকরণের জন্য এবং তিনজনকে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
-20241222114836.jpg)
