কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে একটি বাড়িতে ঢুকে সবার হাত-বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় বাড়ির মালিকের ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
সোমবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়িতে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পরদিন মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেনসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাড়ির মালিক শফি উদ্দিন জানান, আনুমানিক রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জন মুখোশ পরে স্বশস্ত্র অবস্থায় রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করেন। বাড়িতে ঢুকেই ডাকাতরা তাকেসহ তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান ও ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমসহ সকলের হাত পা মুখ বেঁধে মারধর করতে করতে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে।
এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে থাকা ১০-১২ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয়। এসময় বাড়ির মালিকের ছেলে আলেফ উদ্দিন (৩৫) ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে বেদম মারপিট করে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, “ডাকাতরা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নেওয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে মারধর করে নাক মুখ গলা চেপে ধরে হত্যা করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার করা হয়।”
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাত দল রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। বাড়ির মালিকের ছেলে আলেফ উদ্দিন হয়তো ডাকাতদের চিনতে পেরেছে। যার কারণে ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলতে পারে। অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”