কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, নিপীড়ন, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইলিশ চত্বরে অবস্থান নেন তারা। এসময় তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে আন্দোলনকারীদের থেকে কিছুটা দূরত্বে ছিল পুলিশ।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পরে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়। আমরা এ হামলার বিচার চাই। এছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র ও নিরীহ জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।“
এর আগে শুক্রবার চকবাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষেই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বের হয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। এসময় তারা মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য ধাওয়া করে। পরে তারা মিছিল নিয়ে তমিজ মার্কেট এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসার ভেতরে অবস্থান নেয়। এর পর পরই কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়।
মিছিলটি চকবাজার মসজিদের সামনে গেলেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান শুরু করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে গেলে মিছিল থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে পুলিশের বাধা ভেঙে লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারাও শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে। এরমধ্যে ৭-৮ শিক্ষার্থীকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। শিক্ষার্থীদের ইটপাটকেলে ছাত্রলীগের দুজন আহত হন বলে জানা গেছে।