সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় এলাকার শাহিদাবাদ-নালিকাটা সীমান্ত হাটে দুর্ভোগের শেষ নেই। চলতি বছরের গত ২৪ মে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড়ের সাহিদাবাদ ও ভারতের নালিকোটা এলাকায় সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে জেলার তৃতীয় সীমান্ত হাট উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশি ও ভারতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সীমান্ত হাট চালু করা হলেও হাটে প্রবেশপথ, ছাউনি, নলকূপসহ হয়নি হাটের কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন। যার কারণে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রতি বুধবার এই সীমান্ত হাট জমে। তবে হাটে নেই কোনো সুপেয় পানির ব্যবস্থা। হাটের প্রবেশপথ পাকা না করায় পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। এছাড়া হাটের বাইরে নির্মাণ হয়নি কোনো টিকিট কাউন্টার বা ছাউনি। এসব কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সীমান্ত হাটের সংশ্লিষ্টরা ও হাটে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
টিকিট নিতে আসা জাকির হোসেন জানান, অনেকেই হাটে যাওয়ার জন্য অস্থায়ী টিনের ঘরে টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রচণ্ড রোদ এবং অনেক সময় বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না।
এই হাটে আসা ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া বলেন, সীমান্ত হাটের বাইরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না হওয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া হাটের ভেতর সাধারণভাবে বাথরুম নির্মাণ হলেও হাটের বাইরে অপেক্ষমাণ মানুষের জন্য জরুরি স্থাপনা নির্মাণ হয়নি। এ ছাড়া সীমান্ত হাটের প্রবেশপথের অবস্থাও করুণ।
স্থানীয় বাসিন্দা জমির উদ্দিন বলেন, হাটের বাইরে অবস্থানরত মানুষের বসা ও তাদের খাবার পানির ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় অনেককে।
এ ব্যাপারে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, “সীমান্ত হাটের উন্নয়নে আমাদের ইউনিয়নে তেমন বরাদ্দ নেই। তবে সীমান্ত হাটের বাইরের অংশে যাত্রীছাউনি ছাড়াও অবকাঠামোগত নানা উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু করতে পারছি না। এরপরও সাধ্যমতো উন্নয়নের চেষ্টা করছি।”
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, “উপজেলার শাহিদাবাদসহ তিনটি সীমান্ত হাটের বাইরের অংশে দর্শনার্থীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ, বিশুদ্ধ পানি, ওয়াস বক্ল, টিকেট কাউন্টারসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা প্রয়োজন। এগুলো না থাকায় সবাই দুর্ভোগে আছেন। এই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।”