• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাঠের সাইকেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন খোকন


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
কাঠের সাইকেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন খোকন

কাঠের বাইসাইকেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার খোকন মিয়ার (২৮) নামে এক যুবক। তার বাড়ি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা নওকুচি গ্রামে। ব্যতিক্রমী ডিজাইনের এমন বাইসাইকেল দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই।

খোকন মিয়া জানান, তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তার কারিগরি কোনো জ্ঞান নেই। পড়ালেখা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। শখ থাকলেও অর্থের অভাবে কিনতে পারেননি বাইসাইকেল। তাই ইচ্ছা ছিল কাঠের বাইসাইকেল তৈরি করার। এরপর মেধা খাঁটিয়ে এক মাস পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন কাঠের বাইসাইকেল।

খোকন মিয়া বলেন, বাইসাইকেলের চাকা, প্যাডেল, সিট, হ্যান্ডেলসহ সবকিছুই কাঠের। এতে রয়েছে হাইড্রলিক ব্রেক, ডিজিটাল হেডলাইট ও আধুনিক হর্ন। বিশেষভাবে রঙ করার পর ভিন্ন রূপ পেয়েছে কাঠের এই সাইকেলটি। আর এই বাইসাইকেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।

খোকন মিয়া আরও বলেন, “সাইকেল তৈরি করার সময় অনেকেই উপহাস করেছে, কটু কথা বলেছে। স্থানীয় অনেকেই বলেছে কাঠ দিয়ে সাইকেল বানানো কোনোভাবেই সম্ভব না। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল একটা কাঠের সাইকেল তৈরি করার। আমার আশা পূরণ হয়েছে। সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে কাঠের মোটরসাইকেল তৈরি করার ইচ্ছা আছে।”

স্থানীয় হসিবুল মিয়া, বোরহানউদ্দীন ও আব্দুস সাকুর বলেন, “ব্যতিক্রমী এ বাইসাইকেলের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে আসছেন অনেকে। কাঠ দিয়ে সাইকেল তৈরি করা সম্ভব এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ছিল। তাই দর্শনার্থীরা এসে সাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও গ্রাফি করছেন বা কেউ সেলফি তুলে নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে আপলোড করছেন।”

কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, “খোকন একটি সাইকেল তৈরি করেছে। যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করব। সরকার যদি তাকে সাহায্য করে তাহলে এই ছেলেটা আরও কিছু জিনিস আবিষ্কার করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

Link copied!