সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নার্স ও স্টাফদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলার শাহজালালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বর্তমানে নগরীর মীরবক্সটুলা ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন রানা, তার সহোদর মোস্তাক হোসেন ও একই রেস্তোরাঁর কর্মচারী জকিগঞ্জের আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুর রহিম।
হামলায় আহতরা হচ্ছেন- পুলিশের নায়েক সুভাশীষ, হাসপাতালের স্টাফ মিঠু ও একজন নার্স।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে নগরের মীরবক্সটুলায় একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের দুই ব্রাদার। পাশেই সিগারেট খেয়ে ধোঁয়া ছাড়ছিল রেস্টুরেন্টের স্টাফরা। এ সময় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে নিষেধ করা নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রেস্টুরেন্ট থেকে হাতুড়ি, রড নিয়ে ১০-১২ জন কিশোর এসে দুই ব্রাদারের ওপর হামলা করে। আহত অবস্থায় তারা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জরুরি বিভাগে গেলে সেখানে গিয়েও হামলা করা হয়।
এ সময় নার্সদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে তাদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তারপরও সংরক্ষিত কক্ষে ঢুকে চেয়ার তুলে তাদেরকে আঘাত করে হামলাকারীরা। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সদস্যরা পরিস্থিতি নিরসনের চেষ্টা করলে তাদের ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দাস জানান, হামলাকারীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। সিগারেট খাওয়ার পর ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, দুই পক্ষের দফায় দফায় মারামারি হয়েছে। ওই ঘটনায় একটি পক্ষ মামলা করেছে, আটক করা হয়েছে তিনজনকে।