পারিবারিক দ্বন্দ্বে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বিদ্যুৎ আলী শেখ (৩০)। সেই যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি। তবে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সুজানগর উপজেলার হাটখালী থেকে বিদ্যুৎ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত শিউলী খাতুন বেড়া উপজেলার রুপপুর কাঠালডাঙ্গী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। গ্রেপ্তার বিদ্যুত আলী শেখ বাদাই গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গৃহবধু শিউলী খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
পুলিশ সুপার বলেন, “রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে গৃহবধূ শিউলীর মা ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে এসে দেখতে পান ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলা। তখন শিউলীর নাম ধরে ডাকলে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের মধ্য প্রবেশ করে দেখতে পান মেঝেতে তার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর তার চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন শিউলী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন ভিকটিমের স্বামী বিদ্যুৎ পলাতক ছিল।”
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “পুলিশের একটি চৌকস টিম উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সুজানগর উপজেলার হাটখলি এলাকা থেকে স্বামী বিদ্যুত আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিদ্যুৎ পুলিশকে জানান, বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। যার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ পরিকল্পনা করে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে- এই চিন্তা থেকে ভোর সোয়া চারটার দিকে শোবার ঘরে থাকা চাকু দিয়ে শিউলীর গলা কেটে হত্যা করে কৌশলে পালিযে যায়।
পরবর্তীতে একটি ধান ক্ষেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু নিজ হাতে বের করে দেয়। পরে আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।