• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কিশোরীকে জায়নামাজ থেকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
কিশোরীকে জায়নামাজ থেকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ
প্রতীকী ছবি।

স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায় সময় উত্যক্ত করতো ও প্রেম নিবেদন করতো এক তরুণ। তবে প্রেম নিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল কিশোরী। তাতেই ক্ষুব্ধ হন সেই তরুণ। বিভিন্ন সময় দেখে নেয়ার হুমকি দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রেম নিবেদনকারী তরুণ ও তার সঙ্গীরা কিশোরীর বাড়িতে আসে। সে সময় মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিল কিশোরী। ঠিক এসময় একদল বখাটে ঘরে ঢুকে জায়নামাজ থেকে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে চারজনের জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা।

অভিযুক্তরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারাহিপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. সেজান (১৮), মো. ইউসুফের ছেলে শুভ (১৮), মাঈন উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৭) ও একই এলাকার শুভ (২০)।

ঘটনাটি নোয়াখালী সদর উপজেলায় ঘটেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অভিযোগ দেওয়ার পর কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অপহৃত কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় সেজান প্রায়ই উত্যক্ত ও প্রেম নিবেদন করতো। তবে নিবেদন প্রত্যাখ্যান করায় কিশোরীকে বিভিন্ন সময় দেখে নেয়ার হুমকি দিতো সেজান। সবশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় সেজান, শুভসহ ৪/৫ জন মিলে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে নামাজের জায়নামাজ থেকে জোর করে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় রাতেই আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এখনও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, ফিল্মি স্টাইলে নিজ ঘর থেকে কিশোরীকে অপহরণ করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন।

সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক স্বপন দে জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করছি।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। একাধিক দল ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের কাজ করছে।

Link copied!