কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহরণের ১২ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মোহাম্মদ আরিফ (৪২) উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাতব্বরপাড়ার মৃত বজল আহমদের ছেলে। তিনি পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরিফের স্ত্রী মেহেবুবা আনোয়ার লাইজুর অভিযোগ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে পেকুয়া সদরের চৌমুহনী থেকে বাড়ি ফেরার পথে আরিফকে অপহরণ করে ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী।
তার দাবি, জায়গাজমির বিরোধ নিয়ে তাদের কোণঠাসা করতে ও মুক্তিপণ আদায় করতে তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাঁর শাশুড়ির মোবাইল ফোনে কল করে আরিফকে জীবিত ফিরে পেতে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। প্রথমে ২৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৬০ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ৩ অক্টোবর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল তারা।
স্বামীকে বাঁচাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন জানিয়ে লাইজু বলেন, এ ব্যাপারে থানাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করা হয়েছিল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গ্রামে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সন্দেহজনক একটি বস্তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে তারা বস্তাটি খুলে একটি মৃতদেহ দেখতে পেলে আরিফের স্ত্রী ও স্বজনদের জানানো হয়। পোশাক দেখে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন স্বজনেরা। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে শিক্ষক আরিফকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েক শ লোক পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে বাড়িটির বেশ কিছু অংশ ভস্মীভূত হয়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।