খুলনার তেরখাদা উপজেলার আলোচিত ডাবল মার্ডারের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি আবু সাঈদ বিশ্বাস (৩৫) ও আয়েব শেখের (৫০) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৪ আগস্ট) খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, তেরোখাদা ছাগলাদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলাম (৫৪), মো. আব্দুর রহমান (৫৫), জমির শেখ (২৫), শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৫), খালিদ শেখ (৩২), এস্কেন্দার শেখ (৪২), জসিম শেখ (৩৫), হোসেন শেখ (৩০), জিয়ারুল শেখ (২৬), বাহারুল শেখ (২৪), আব্বাস শেখ (২৪), অহিদুল গাজী (৩৪), খাইরুল শেখ (৩৫), কেরামত মল্লিক (৩৫), মাহবুর শেখ (৪৯), বাবু শেখ (৩৫) ও নূর ইসলাম শেখ (৩৭)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান জানান, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। তিনি মনে করেছিলেন আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেবেন। কিন্তু বিচারক যেটি ভালো মনে করেছেন সেটি করেছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। সেখানে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
নিহত পিরু শেখের স্ত্রী মাহফুজা বেগম এ রায়ে খুশি নন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন।
মাহফুজা বেগম বলেন, “ওইদিন রাতে আমার স্বামী ও সন্তান বাঁচার জন্য আসামিদের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু তখন তাদের মন গলেনি।”
এর আগে, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রিজনভ্যানে করে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। মামলার রায় শোনার জন্য তেরখাদা ছাগলাদাহ ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার মানুষ আদালত চত্বরে ভিড় করেন। আদালতের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাদের সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।