তিন বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়। এরপর সম্পর্ক গড়ায় ভালোবাসা পর্যন্ত। তবে ভালোবাসার পূর্ণতায় বাধা ছিল পরিবার, জাতীয়তা ও ভৌগোলিক সীমানা। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামে প্রেমিক আশরাফুল আলমের বাড়িতে এসেছেন ভারতীয় তরুণী কারিশমা শেখ (১৯)।
আশরাফুল আলম উপজেলার চরগাঁও গ্রামের আলফাজ উদ্দিনে ছেলে ও কারিশমা ভারতের আসাম প্রদেশের শোনিতপুর বালিডাঙ্গা গ্রামের আবদুল কাচিম শেখের মেয়ে।
এর আগে, ১৬ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত হয়ে আশরাফুলের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। পরে ১৯ জুলাই সুনামগঞ্জ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
কারিশমা সেন বলেন, “আমার স্বামী খুব ভালো মনের মানুষ। আমি পরিবারের সবাইকে খুব ভালোবাসি। স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশে থাকতে চাই।”
আশরাফুলের বাবা আলফাজ উদ্দিন বলেন, “মেয়েটি তার নিজ দেশ, মা, বাবা সবার মায়া ত্যাগ করে আমার ছেলের কাছে চলে এসেছে। তাকে আমি মেয়ে হিসেবে মেনে নিয়েছি। ছেলের বউয়ের নাগরিকত্বের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করব।”
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “কারিশমা শেখ বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন কি না সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হবে।”