নড়াইলের কালিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় ফের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুরে হামলার শিকার হন আতাউর রহমান (৪৫)। তিনি কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। দুর্বৃত্তদের কোপে তার বাঁ হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার স্বজনরা হামলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের নেতাকর্মীকে দায়ী করেছেন।
এ ঘটনায় আতাউরের ভাই আশিকুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মামলা করেন। চেয়ারম্যান পিকুলসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার দুই আসামি তহিদ শেখ ও লেকবার শেখকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আতাউরের স্বজনের অভিযোগ, দুই আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন– এমন সন্দেহে আসামি পক্ষের লোকজন বুধবার সকালে স্থানীয় নুরু মুন্সীর বাড়িতে হামলা করেন। তারা নুরুর স্ত্রী জাহিদা বেগমকে বেদম মারধর করেন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আতাউরের লোকজন তাদের প্রতিরোধ করতে আসেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ১২ জন আহত হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত ব্যক্তিরা কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এবিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, আতাউরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই আসামিকে তারা গ্রেপ্তার করেছেন। বুধবারের সংঘর্ষেও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।