• ঢাকা
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

এলাকায় ফিরে ভাতিজিকে নিয়ে পালালেন যুবলীগ নেতা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
এলাকায় ফিরে ভাতিজিকে নিয়ে পালালেন যুবলীগ নেতা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক কলেজছাত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার (২৭ এপ্রিল) ওই কলেজছাত্রীর বাবা হাতিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিন সন্তানের জনক। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী তার দূর-সম্পর্কের ভাতিজি হয়।

স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা রিপন ও ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবার মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। প্রায় সময় রিপনকে তিনি তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। তারা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা করতেন। সেখান থেকে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে রিপনের প্রেমের সম্পর্ক হতে পারে।

তবে ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, কলেজে যাওয়ার পথে প্রায় সময় মেয়েকে উত্যক্ত করতেন রিপন। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। মেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে বলার পর তিনি রিপনের পরিবারকে বিষয়টি জানান। তখন রিপন ও তার পরিবারের লোকজন কলেজছাত্রীর বাবাকে হুমকি দেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন রিপন। কয়েক মাস আগে আবার এলাকায় ফিরে আসেন। গত শনিবার সকালে কলেজে যাওয়ার পথে রিপন লোকজন নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মেয়ের কোনো খোঁজ পায়নি তার পরিবার।

এ বিষয়ে কথা বলতে যুবলীগ নেতা রিপন চন্দ্র দাসের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।  

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবার সঙ্গে অভিযুক্ত রিপনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায় মেয়ের বাবা রিপনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতেন, খাওয়া-দাওয়া করতেন, এক সঙ্গে ঘুমাতেনও। রিপন ওই মেয়েকে কলেজে নিয়ে যেত। এখন সুযোগ বুঝে সে মেয়েকে নিয়ে ভাগছে। ভুক্তভোগীর বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।”   

Link copied!