লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন সোহাগকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলার শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেন এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ চার মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন সোহাগ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর এলাকার মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ।
ওসি জানান, ৪ আগস্ট সাবেক যুবলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন টিপুর বাসভবনের ছাদ থেকে টিপুর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলিব চালান গিয়াস উদ্দিন সোহাগ। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গুলি ও নিহতদের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাদ আল অপসারণকৃত চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছোড়েন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
টিপুর নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন।
এ সময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।