শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেল সরদার (৩৮) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল মাদবর নামের এক বিএনপির সমর্থকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল সরদার ওই এলাকার ইসহাক সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, শুক্রবার ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় একটি সেলুনে চুলদাঁড়ি কাটছিলেন যুবলীগ কর্মী রাসেল সরদার। এ সময় পেছন থেকে স্থানীয় বিএনপি কর্মী সাইফুল মাদবর ও তার লোকজন তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত তিনটার দিকে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজনরা।
নিহতের ভাবী সীমা আক্তা বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ করতাম এটাই কি আমাদের দোষ। আমার দেবর আওয়ামী লীগ করতো বলে বিএনপির সাইফুল ও তার লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। ছোট ছোট দুটি বাচ্চাকে এতিম করে দিয়ে গেলো। আমরা ওদের ফাঁসি চাই।”
নিহতের বোন ইয়াসমিন বলেন, “আমার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল। আমার ভাই তো কারো কখনো ক্ষতি করেনি। তাহলে কেন আজ আমি ভাইহারা হলাম। খুনিদের কঠিন বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
