বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করলেন এক ‘যুবলীগ’ কর্মী। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে গত সোমবার তিনি মামলাটি করেন।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত মামলার বাদী চট্টগ্রামের মহানগরের নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা ‘যুবলীগ’ কর্মী কফিল উদ্দিনের বক্তব্য শুনে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় মোট ২৬ পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, ওয়াসিম উদ্দিন ও মোবারক আলীকে। আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এক যুবককে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, মামলা দায়েরের পরপরই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাদী কফিল উদ্দিন নিজে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন মিছিল–সমাবেশে তার সঙ্গে যোগও দিয়েছেন। নিজের হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল ছবিতে বাবরের সঙ্গে তার ছবিও আছে।
তাছাড়া কফিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে। আনোয়ারা থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) রয়েছে। তাছাড়া গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন।
এজাহারে কফিল অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট নিউ মার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে বাদী হাতে আঘাত পান। আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে সংশ্লিষ্টদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় মামলা করতেও তার দেরি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।