চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যানার, পোস্টার সরানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষ, হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। এ সময় জেলা যুবদল নেতা জানে আলমের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক ও নোয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী জানে আলম (৪৫), একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খায়েজ আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৫) ও তার ছোট ভাই আজিম উদ্দিন (৪০)। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারমানের ছেলে মুহাম্মদ কামাল উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে যুবদল নেতা জানে আলম তার লাগানো পোস্টার ব্যানার সরানো নিয়ে জানতে চান। এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় তাদের পরিবার ও পরিচিত লোকজন ছুটে আসেন। দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সড়কের পাশে রাখা জানে আলমের মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, কামাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই শরাফত উল্লাহ জানান, পুরো ঘটনায় তার সামনে ঘটেছে। তুচ্ছ বিষয় পোস্টার সরানো নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুজন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, “পোস্টার ব্যানার সরানো-লাগানো নিয়ে দুজনের তর্কাতর্কি থেকে মারামারি, হামলা, সংঘর্ষ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে আমরা এলেও ততক্ষণে কাউকে পাওয়া যায়নি।”
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে পোস্টার ব্যানার সরানোকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি থেকে। ঘটনাস্থলে পরে থাকা অবস্থায় একটি দেশে তৈরি এলজি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।
তবে সেটি কার, তিনি তা নিশ্চিত করে বলতে সময় লাগবে বলে জানান।