• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩০, ১২ রজব ১৪৪৬

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৮:২৮ এএম
থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া তরিকুল ইসলাম (৪০) নামের সেই যুবদল নেতাকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে থানাসংলগ্ন উপজেলার দেউলভোগ থেকে ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তরিকুল ইসলাম উপজেলা সদরের পশ্চিম দেউলভোগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজাদ রহমান জানান, যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগের মারামারি মামলাটি ছাড়াও থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নতুন মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক সদস্যপদসহ তরিকুলকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়. পেশিশক্তি প্রদর্শনপূর্বক রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে তরিকুলকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের দায়দায়িত্ব দল নেবে না।

পুলিশ জানায়, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর ধাইসার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। 

মারামারির ঘটনায় ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তারা তরিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দেন। পুলিশ তাতে রাজি না হলে পরে নেতাকর্মীদের একটি দল থানায় যায়।

এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ২০০ নেতাকর্মী সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তারা বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।

থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার বিচার দাবিতে শনিবার দুপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্লকেড করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। তিন ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন তারা।

পরে বিকেলে শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে এজহারনামীয় ৩১ জনসহ ২০১ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন জেমস, সদস্যসচিব মামনুর রশিদ, ছাত্রদল সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমদাদুল ইসলাম রজিনসহ বেশ কয়েকজন প্রথমসারির নেতাকর্মী।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!