যশোরের ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মী পিয়াল হাসানকে (২৮) হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে বেনাপোল থেকে মনিরুল ইসলাম মনির (৩৭) এবং মোবারকপুর থেকে তুষার হোসেনকে (৩১) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজন ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে নিহত পিয়ালের বাবা কিতাব আলী বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ঝিকরগাছা পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম রেজাসহ ১০ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে সোমবার বিকেলে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। পরে ওসি সব আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, “পিয়াল হত্যা মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে থানা এলাকায় এসে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। পরে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও চেষ্টা চলছে।”
গত ৫ আগস্ট ঝিকরগাছা বাজারে আধিপত্যের বিস্তার নিয়ে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে যুবদলের কর্মী পিয়াল হাসানের বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে পিয়ালের নেতৃত্বে কয়েকজন শামীমের বাবা কামরুল ইসলামকে চাকু মেরে জখম করেন।
ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পিয়ালসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। দেড় মাস কারাভোগ করে গত ৮ নভেম্বর জামিনে মুক্ত হন তারা। পরদিন ৯ নভেম্বর পিয়াল রেল স্টেশন এলাকায় শামীমের কাছে গিয়ে ওই ঘটনার জন্যে ক্ষমা চান। এ সময় শামীম তার সহযোগীদের ডেকে পিয়ালকে ধাওয়া দিয়ে বোমা মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে উপজেলা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম রেজার সম্পৃক্ততার অভিযোগে শামীমকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।