ঢাকার সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে বিক্ষোভের কারণে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ডিইপিজেডের আশপাশে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেছে।
চাকরিপ্রত্যাশী ও ডিইপিজেডের কর্মকর্তারা বলেন, “সকাল থেকে পুরাতন ডিইপিজেডের সামনে শতাধিক লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে আটকে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। ডিইপিজেডের মূল ফটকের ভেতরের অংশে অবস্থান নেওয়া সেনাবাহিনী ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১–এর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বেলা ১১টার দিকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য তারা মহাসড়ক ছেড়ে গেলেও পরে আবার অবরোধ শুরু করেন।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, “ভোর থেকেই ডিইপিজেডের সামনে অবস্থান নেন চাকরিপ্রার্থীরা। কাজে যোগদানের উদ্দেশে আসা বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের মূল ফটকে আটকে দেন তারা। বেশ কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এ ছাড়া নতুন ডিইপিজেডের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, “আমরা কোনো ঝামেলা করি নাই। আমরা চাই চাকরি। এখানে নারী-পুরুষ সবাইকেই সমানভাবে চাকরি দিতে হবে। কয়েক দিন ধরেই আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না।”
ডিইপিজেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার (১৮ আগস্ট) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে তাদের সিভি জমা দিতে বলা হয়। অনেকে সিভি জমাও দিয়েছেন। তবে বেশ কয়েকজন সিভি জমা না দিয়ে নিয়োগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেন। আজ একাধিকবার তাদের নিয়ম অনুসারে সিভি জমা দিতে বলার পরও তারা সিভি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম বলেন, “তাদের (চাকরিপ্রত্যাশী) সিভি জমা দিতে বলা হলেও সিভি জমা দিতে চাচ্ছেন না। আমরা তাদের বুঝিয়ে সকালের দিকে কিছু সময়ের জন্য সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আবার তারা সড়ক অবরোধ করেছেন। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।”