ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় গত তিন মাসে সড়কে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ, হাসপাতাল, জেলা পুলিশ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি মাসে ১৩ জন, ফেব্রয়ারি মাসে ৫ জন ও মার্চ মাসে ১৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৮ জন, কালীগঞ্জে ৭ জন, মহেশপুরে ৭ জন, কোটচাঁদপুরে ২ জন, শৈলকুপায় ৬ জন ও হরিণাকুন্ডুতে ২ জন।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ সড়ক মহাসড়কে চলালকৃত অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন। এছাড়া দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেও দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠেনের কর্মী সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, সড়ক মহাসড়ক ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাল্লা ভাড়ি হচ্ছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু জানান, বৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সড়কে এই মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে যুক্ত হতে হবে।
ঝিনাইদহ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা তো সবসময় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। চালকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, মানুষকে সচেতন করছি। তারপরও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব হচ্ছে না। সড়কে নতুন নতুন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে সড়কগুলো বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠছে।”
ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা সড়ক মহাসড়ক অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তারপরও তাদের থামানো যাচ্ছে না।”
মিজানুর রহমান বলেন, “পুলিশের একার পক্ষে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগণ যদি সচেতন না হয় তবে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।”