ঢাকঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে এ যেন আনন্দময় উৎসব। সেই সঙ্গে কাসার ঘণ্টার তালে তালে চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে ফেটে পড়ছেন দর্শকরা। সেই সঙ্গে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে লাঠিয়ালদের।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে এমন উৎসব হয়ে গেল জেলার উজির আলী স্কুল মাঠে। যা দেখতে ভিড় করেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লাঠির এই কসরত দেখে মুগ্ধ হয় দর্শকরা।
মামুন হোসেন বলেন, “গ্রামে লাঠিখেলা হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু শহরে তো লাঠিখেলার আয়োজন করা হয় না। নতুন বছর উপলক্ষে আজ লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে শুনে এলাম। দেখতে অনেক ভালো লাগছে।”
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান খোকা বলেন, “বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠিখেলা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা চেষ্টা করছি এটি ধরে রাখতে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে এই ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
এ ব্যাপারে আয়োজক ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, “এ বছর থেকে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুরু করেছি হারানো এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে। আমরা এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে। সেই সঙ্গে শহরের মানুষ যেন আনন্দ উপভোগ করতে পারে।”
দিনভর খেলায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১৫টি লাঠিয়াল দলের ৬৫ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। খেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
