রাজশাহীতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছুই করেনি।”
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “যে দল ছাত্র জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে নির্বিচারে, জামায়াত বলে বসল, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্তকে কীভাবে মাফ করবেন?”
রিজভী বলেন, “এই যে দাউদ ইব্রাহিম সন্ত্রাসীসহ যে সমস্ত সন্ত্রাসী ভারতের, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ আছে বলে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন পাকিস্তানকে অভিযোগ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা নানা কথা বলে। আজকে যদি তাই হয়, তাহলে কেন শেখ হাসিনা উসকানি দিচ্ছেন। এই ধরনের একজন অপরাধী, যে শিশুর রক্ত খেয়েছে। গরিবের রক্ত খেয়েছে। নারীর রক্ত খেয়েছে। যে এই দেশের জনগণের রক্ত কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। আপনি তাদেরকে আশ্রয় দিলেন। সেই ভারত যদি অত্যন্ত প্রিয় হয়ে যায়। তাহলে আমার এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য। এটা অত্যন্ত দুঃজনক।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। মতের বাইর গেলে গুম, খুন করা হয়েছে। আয়নাঘর তৈরি করে নেতা-কর্মীদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, মামলা দিয়েও হয়রানি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিন শতাধিক মামলা রয়েছে।
তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোহাম্মদ সামসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ (চাঁদ), সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরের আহ্বায়ক এরশাদ আলী, সদস্যসচিব মামুন অর রশিদ, বাগমারার সদস্যসচিব কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুন অর রশিদ তাঁর বক্তব্য জামায়াত-শিবিরের সমালোচনা করে ‘বেইমান’ বলে উল্লেখ করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামায়াতের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘তাদের একটি ছাত্রসংগঠন আছে, যার আত্মপ্রকাশ হয়েছে রগ কাটার মাধ্যমে। এরা এখন ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’