নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব বলেছেন, ‘‘অযথা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বচ্ছ মনোভাব দেখাতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় তা বিবেচনায় রাখতে হবে। আইনশৃংখলা বাহিনীকে শতভাগ নিরপেক্ষ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না। এমন কোনো কাজ তারা যেন না করে যাতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না উঠে। কমিশনের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন না হয়। সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস, ভোটের কার্যক্রমে কেউ বাধা দিলে আইন তার নিজ গতিতে চলবে। গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘আমরা (কমিশন) প্রথম থেকে ধাপে ধাপে তাদের ডেকেছি, অনুষ্ঠানিক বা অ-আনুষ্ঠানিকভাবে চায়ের দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু তারা কেউ সাড়া দেয়নি। তবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য কমিশন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।’’
ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে সভায় বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. পারভেজ হাসান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান, বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, লে. কর্নেল বিজিবি খোরশেদ আনোয়ার, বরগুনা পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সালাম, ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানগণসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতির দায়িত্ব স্ব স্ব প্রার্থীর। তবে ভোটারদের নিরাপত্তায় এবং নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কেই বাধাগ্রস্ত করে তাকে ৩ থেকে ৭ বছরের জেল দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।’’