তাপ্রবাহের জন্য নির্বাচন বন্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, “ভোটের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে, এর মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হয়। তা না হলে নানা বিধ আইনগত সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক সমস্যা হয়, রাজনৈতিক সমস্যা হয় এবং শান্তি শৃঙ্খলাও বিঘ্ন ঘটে। এজন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নির্বাচন শেষ করতে হয়।”
ইসি আলমগীর আরও বলেন, “যখন নির্বাচনের শিডিউল দেওয়া হয় তখন তীব্র দাবদাহ ছিল না। আপনারা জানেন যে ভারতে খরা কিন্তু আমাদের থেকেও বেশি। তারা খরার মধ্যে তাদের জাতীয় নির্বাচন বন্ধ রাখেনি।”
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, “আমাদের অধিকাংশ কেন্দ্র স্থায়ী। সেখানে পাকা ভবন ও গাছপালা আছে। ভোটাররা ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। প্রতিটা ভোটকেন্দ্রে পানির ব্যবস্থা থাকবে। আর ভোটাররা তো ভোট দিয়েই চলে যাবে, ভোট কেন্দ্রে তো বসে থাকবে না। এ জন্য খুব বেশি সমস্যা হবে না।”
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, “উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে আচরণ বিধি আনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।