১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান নবীণ সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “সততা মানবজীবনের অন্যতম সম্পদ। জীবনের সকল কাজে তোমরা সততা অবলম্বন করবে। মনে রেখ, জীবনে সৎ হওয়ার জন্য তোমার ইচ্ছাই যথেষ্ট। আরও মনে রাখবে- সবার আগে দেশ তারপর আমাদের প্রাণপ্রিয় সেনাবাহিনী এবং নিজের স্বার্থ সবার শেষে। সৈনিক হিসেবে এটাই আমাদের পথ্যই।”
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসের শহীদ বীর উত্তম সিপাহী (জিডিএ) নুরুল হক প্যারেড গ্রাউন্ডে সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল কর্তৃক পরিচালিত রিক্রুট ব্যাচের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান প্রধান অতিথি ও প্যারেড রিভিউইং অফিসার হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন।
মেজর জেনারেল মাসীহুর বলেন, “আমি স্মরণ করছি- মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গকারী সকল মহান মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের রক্ত ও ত্যাগে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। বিশেষভাবে স্মরণ করছি- আর্মি মেডিকেল কোরের ১৫ জন অফিসারসহ ১৩৭জন শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের। তাদের মহান আত্মত্যাগ এই কোরের গর্বান্নিত ও মহিমান্বিত করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং শান্তি রক্ষায় যে কোনো দুর্যোগ ও মানবতার সেবায় এই কোরের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত-নন্দিত।”
সমাপনী কুচকাওয়াজে প্যারেড কমান্ডার ছিলেন মেজর আসাদুজ্জামান অনিক। সার্বিক তত্ত্বাবধানকারী অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট কর্নেল সৈয়দ হাসান মাহমুদ হোসেন।
প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ারুস সাদাত। এসময় সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক) এবং ঘাটাইল এরিয়ার উর্দ্ধতন সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৮১ তম সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৪১৮ জন রিক্রুট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আর্মি মেডিকেল কোরে নবীণ সৈনিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এ বছর ১২৯ জন মহিলা রিক্রুট যোগদান করেছেন।