খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের দোকানে ওষুধ কেনা নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সংঘাতের ঘটনায় কমপক্ষে ২৯ ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।
জানা যায়, খুলনা মেডিকেলের দুই শিক্ষার্থী ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে ১০ শতাংশ কমিশন দিতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে অন্য ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। পরে মেডিকেল কলেজের হলের শিক্ষার্থীরা ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১২টার দিকে ধর্মঘট ডাকে ইন্টার্ন চিকিৎসা পরিষদ।
সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাস বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের তারা খুব বাজেভাবে মারধর করেছে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে হামলার ঘটনার পরপরই দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, “হামলার ঘটনায় আমাদের নয়জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা একটি দোকানের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। অন্যান্য দোকানের শাটার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়ানোর জন্য আমাদের দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।”