দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. শিহাব উদ্দিন শাহীন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের রশিদ কলোণি এলাকার চেয়ারম্যান পার্কের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় শিহাব উদ্দিন তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার পাশাপাশি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, দায়িত্ব পালনে চরজব্বর থানার ওসির পক্ষপাতিত্ব এবং এই আসনের নৌকার প্রার্থী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার নেতাকর্মীরা ঠিকমত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে পারছেন না। বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে। নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।”
শিহাব উদ্দিন বলেন, “নির্বাচনের আর কয়েকদিন বাকি। এখন নৌকা প্রতীকের লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। ভোটকেন্দ্রে যেতে মানুষকে নিষেধ করছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা ভীত সন্ত্রস্ত। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত।”
শিহাব উদ্দিন আরও বলেন, “নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম থেকে সুবর্ণচরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় চরজব্বর থানায় অভিযোগ দিয়েও আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। আমাদের জানামতে ওই থানার ওসি রফিকুল ইসলাম নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর আজ্ঞাবহ। তার কাছে কোনো ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।”
এ সময় তিনি ওসি রফিকুল ইসলামকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকানোর দাবিও জানান শিহাব উদ্দিন।