• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

দফায় দফায় সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, পুলিশসহ আহত অর্ধশত


মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
দফায় দফায় সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, পুলিশসহ আহত অর্ধশত
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈরে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দুই দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ও পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালায়। সংঘর্ষের সময় ১০ থেকে ১২টি দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল ঈদের পরদিন ফুচকা ব্রিজ এলাকায় আতশবাজি ফোটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এ সময় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা এতে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে ৩ এপ্রিল সকালে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার সহযোগীরা। পরে জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান বাদী হয়ে রাজৈর থানায় জুনায়েদসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ঘটনায় রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাজৈর গ্রামের মেহেদী মীর (২২), রাসেল শেখ (২৮), সাহাপাড়া গ্রামের মনোতোষ সাহা (৫০) ও আলমদস্তার গ্রামের তাওফিককে (৩৭) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এএসপি জাহাঙ্গীর আলম মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বাকিদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!