ভোলায় ইলিশা-১ কূপের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের পর এবার তৃতীয় স্তরেও মিলেছে গ্যাসের সন্ধান।
সোমবার (১৫ মে) সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় সকাল থেকে আগুন প্রজ্জলনের মাধ্যমে এ গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন গ্যাস বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানী গ্যাজপ্রম এ উত্তোলন কাজ করছে। এ কূপের প্রতিটি স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে নিশ্চিত করেন বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন।
আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার কূপটির তৃতীয় স্তরে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এটির প্রথম স্তর ৩৪৩৩ মিটার থেকে ৩৪৩৬, দ্বিতীয় স্তর ৩২৬৮ মিটার থেকে ৩২৭৫ ও তৃতীয় স্তর ৩২৫০ মিটার থেকে ৩২৫৩ মিটার। যা প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
জানা গেছে, গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালের হাটসংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় ৩টি স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট) এর মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। ২৮ এপ্রিল প্রথম, ৮ মে দ্বিতীয় ও ১৫ মে তৃতীয় স্তরে পরীক্ষারমূলকভাবে গ্যাস কূপে আগুন প্রজ্জলন করা হয়। তৃতীয় স্তরের পরীক্ষা শেষে প্রতিটি স্তর থেকে দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।
ভোলার শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামের আলাদা দুটি গ্যাসক্ষেত্রে মোট ৯টি কূপ খনন করা হয়।
এসব কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমান ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট। এর আগে গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ নামের এ কূপের খনন কাজ শুরু করে বাপেক্সের প্রতিনিধি দল। গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে আগামী অক্টোবর থেকে নতুন করে গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারী সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ভোলা নর্থ-২ নামের একটি কূপে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্জলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর থেকেই একের পর এক গ্যাস কূপের সন্ধান পাওযায়। যা বর্তমানে ৯টি কূপে এসে দাড়িয়েছে।